December 23, 2024, 6:47 am

কোনো অভিযোগ নেই

Reporter Name
  • Update Time : Tuesday, April 7, 2020,
  • 533 Time View

মুক্তিযুদ্ধের সময় খুব ছোট ছিলাম। আমাদের পুরো পরিবার চলে গিয়েছিল শ্রীমঙ্গলের কালিঘাট চা বাগানে। কালিঘাট চা বাগানটি শ্রীমঙ্গল শহর থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার ভেতরে। ফলে সে সব প্রত্যন্ত জনপদে মুক্তিযুদ্ধের আঁচ লাগবে না, এমনটাই ধারণা ছিল।

চা বাগানের ডাক্তার ছিলেন আমার মায়ের নিকট সম্পর্কের এক ভাই। ডাক্তার মামা ছিলেন নিঃসন্তান। ফলে তাঁর পুরো বাড়িটিতে আমাদের নিরাপদ আশ্রয়ে কোনো সমস্যা ছিল না। মামা ছিলেন মায়ের চেয়ে বয়সে ছোট, নাম বদিউজ্জামান। মা আদর করে ডাকতেন ‘বদু’। মামীর ডাক নাম অরোরা। মা আদর করে ডাকতেন ‘আড়ু’ বলে।

ডাক্তাররা সে সময় অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ছিলেন। কারণ শত্রু-মিত্র সবাইকেই বিপদে তাদের কাছে যেতে হতো। তাই বাবা বুদ্ধি করে দুটি রিক্সায় মেজো ভাইয়ের নেতৃত্বে আমাদের তুলে দিলেন। আর বাড়িটি পাহাড়ায় নিজে থেকে গেলেন।

বাবা ছিলেন সাদা দাঁড়ি, এবং সর্বক্ষণ টুপীধারী সুফি প্রকৃতির। বেশ উর্দু জানতেন। এমন কি শেখ সাদীর বেশ কিছু ফার্সী সায়রও জানা ছিল তাঁর। বিপদে সেসব কাজে লাগাবার সক্ষমতা ছিল।

পাকিস্তানী সৈন্য কিংবা রাজাকাররা তাঁকে সমীহ করবে, এমনটাই ছিল বাবার ধারণা। ফলে, আমাদের আশেপাশে পাড়ার সব বাসাবাড়িতে লুটতরাজ হলেও আমাদেরটাতে হয়নি।

খুব ভোরের অন্ধকারে, ফজরের নামাজের মধ্যেই রিক্সা দুটি এসে হাজির। শশ্রূমণ্ডিত দুই তাগুদে রিক্সাওয়ালা। তাদের কোমরে গামছা বাঁধা। হবিগন্জ থেকে ৪০-৫০ কিলোমিটারের পাহাড়ি পথে, গন্তব্যে পৌঁছে দিতে এমন শক্তিমান চালকেরই প্রয়োজন!

গাড়ি ঘোড়া সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে। মুক্তিযাদ্ধা, আনসার, পুলিশ এবং বিডিআর সদস্যরা মিলে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন হবিগন্জ-ঢাকা মহাসড়কের তেলিয়াপাড়া মোড়ে।

সেখানে এখন একটি স্মৃতিচিহ্ন আছে। কিন্তু হবিগন্জ থেকে শ্রীমঙ্গল যেতে সিলেটের মহাসড়ক ধরতে হয়। কাজেই আমরা ১০-১২ কিলোমিটার আগেই তেলিয়াপাড়া এড়িয়ে শ্রীমঙ্গলের পথে নামতে পারবো।

আমরা পালিয়ে যাওয়ার আগের দিন শহর জুড়ে মাইকিং করেছিলেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা। সম্ভাব্য প্রতিরোধ যুদ্ধের ব্যাপারে তারা শহরবাসীকে আগাম সতর্ক করে দিয়েছিলেন। তাই শহর এবং পাড়া প্রতিবেশিদের মধ্যে পালাই-পালাই শুরু হয়ে গেছিল।

যে যার মতন, কেউ আগরতলা, কেউ বাল্লা, জুড়ি, তেলিয়া মোড়া কিংবা জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতে পৌঁছে গেছিল। ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকা যেমন খোয়াই, আগরতলা ইত্যাদিতে তখনই শরনার্থী শিবির তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাচ্ছে বলে শুনতে পেয়েছিলাম।

চৈত্র মাসের সকালটা তত তীব্র রৌদ্রকরোজ্জ্বল ছিল না। কিন্তু বেলা ৯-১০টা বাজতেই রৌদ্র এবং রাস্তার উত্তাপে রিক্সা চালকদের জেরবার অবস্থা। তবে সাতগাঁওয়ের পাহাড়ি রাস্তায় তখন পাতাঝরার সঙ্গে রৌদ্রের খেলা।

সুনশান নীরবতার মধ্যে আমাদের বাহন এগিয়ে চলছিল গন্তব্যে। সঙ্গে ছিল পাতাঝরার শব্দ! দূরে পাহাড়ের পাদদেশে দু’চারটি গরু ছাগল দেখা গেলেও মানুষের দেখা মিলছিল না!

এক একেকটি রিক্সায় চার-পাঁচজন করে। দুই জন সীটে বসলে, দুইজন পা দানিতে। আমরা পিঠাপিঠি তিন-চার ভাই-বোনের আশ্রয় হয়েছিল পা দানিতে তোষকের উপর। পা ঝুলিয়ে রিক্সার পা দানিতে বসতে স্বাভাবিক সময়ে হয়ত বেঁকে বসতাম। কিন্তু যুদ্ধের নিনাদ যখন বেজে গেছে, তখন আমাদের আর ভয় কিসে?

আমাদের কোনো লজ্জা শরম ছিল না। ছিল না কোনো অভিযোগ! অবশ্য সে সময়ের বৃহৎ পরিবারগুলোতে এটাই ছিল রীতি। ছোটোরা বসবে পা-দানিতে। শুধু শক্ত করে চালকের সীটের নীচের গোল স্প্রিংটা ধরে রাখতে হতো এক হাতে। আরেক হাতে পা-দানির পাটাতন। এরকম পা ঝুলিয়ে বসতে গিয়ে পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের নোখ ছিলে উঠে গেছে। সেই ফাটা নোখ আজও তেমনি আছে!

আজ এপ্রিলের এই প্রথম সপ্তায় মনে হচ্ছে সেই যুদ্ধ শুরুর দিন। এখনও, প্রায় ৫০ বছর পর আবার যুদ্ধ! এই যুদ্ধ কোনো সেনাবাহিনী কিংবা বিদেশী শক্তির বিরুদ্ধে নয়। যুদ্ধ এমন এক শত্রুর বিরুদ্ধে, যাকে দেখা যায় না, ছোঁয়া যায় না। অথচ সেদিনের মত আজও সন্ত্রস্ত। রাস্তায় এম্বুলেন্স ছাড়া অন্য গাড়ির সংখ্যা হাতেগোণা।

ঘরে যা আছে, তাই গিলব গো-গ্রাসে। বাচ্চাদেরকেও সে নির্দেশ দিয়েছি। সেই যুদ্ধের দিনে সকালে মামা বাড়ির রান্নাঘরের বারান্দায় মামী আর বোনরা লাইন ধরে বসে রুটি বেলতেন আর সেঁকতেন। পাতলা ডালে আট-দশটা রুটি ভিজিয়ে খেয়ে কোনো অভিযোগ ছাড়াই তৃপ্ত থাকতাম। দুপুর বেলা পাতাকপি ভাজি খেতে খেতে নাকে গন্ধ লেগে গিয়েছিল। তবু কোনো অভিযোগ ছিল না।

আজ আবার সেই যুদ্ধ। আমার বন্ধু নিউইয়র্ক নগরীর ব্রঙ্কসের বাসিন্দা তৌহিদ ভাই বললেন- তার ঘরে আলু নেই। গিন্নী বলে গেছেন কানের কাছে। তবু আলু কিনতে গ্রোসারিতে যাবেন, সেই শক্তি পাচ্ছেন না মনে। প্রতিবেশী কাজী ভাই’র স্ত্রী করোনো আক্রান্ত ছিলেন। সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন হাসপাতাল থেকে। তাদেরকে তরকারি রেঁধে দিয়েছেন তৌহিদ ভাই’র স্ত্রী।

সেই রান্না তরকারি নিতে এসেছেন কাজী ভাই, তৌহিদ ভাই’র এপার্টমেন্টের নীচে রাস্তায় আজ সকালে। তৌহিদ ভাই’র ছেলেটি তিন তলা থেকে নীচে নেমে গেল তরকারি দিতে। কাজী ভাই গাড়ির ভেতর থেকে জানালা খুলে ছেলেটিকে বললেন- তুমি তরকারি ওখানে রেখে চলে যাও। আমি নিয়ে নেব।

ছেলেটি দূরে থেকে তরকারি রাস্তার পাশে রেখে চলে গেল। কাজী ভাই নিরাপদ দূরত্বে থেকে তুলে নিয়ে চলে গেলেন। করোনা আতঙ্কে এমনই নিরাপদ “সামাজিক দূরত্ব” মেনে চলছেন মানুষ। নিউইয়র্ক গভর্ণর আজ সংবাদ সম্মেলনে বললেন- আজ থেকে সামাজিক দূরত্ব লঙ্ঘনের ফাইন বাড়িয়ে ৫’শ থেকে ১ হাজার ডলার করা হয়েছে।

রোমেল সপরিবারে থাকে নিউইয়র্ক নগরীর জ্যামাইকায়। সিঙ্গাপুরি জাহাজের ক্যাপ্টেনের চাকরি ছেড়ে চলে এসেছে সাধের আমেরিকায়। তিন-চার বছর যাওয়া আসা করে এখন ছেলে মেয়ের বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশুনা নিশ্চিত করতে স্থায়ী আসন গেড়েছে। ঢাকার প্রাসাদোপম বাড়িটি পড়ে আছে।

কাল রাতে জিজ্ঞেস করেছিলাম- কী রে, বউয়ের সঙ্গ কতটা উপভোগ করছিস? উত্তরে জানালো- একমাত্র এম্বুলেন্সের শব্দ ছাড়া আর কোনো শব্দ নেই। আর এম্বুলেন্সের শব্দ মানেই আতঙ্কের। বললো- ‘দিনরাত এমন শব্দের মাঝে রোম্যান্স হয় না রে’! বললো- “এম্বুলেন্স মানেই ওয়ানওয়ে টিককিট। সুস্থ হলে নিজের গাড়িতে করে বাড়ি ফিরবে, নয়ত ঠাণ্ডা গাড়িতে করে চলে যেতে হবে মর্গে!” নিউইয়র্ক নগরীর অনেক মানুষ হয়ত করোনা নিয়েই ঘরে বসে যুদ্ধে লিপ্ত আছেন!

কইন্স ভিলেজে থাকা সুদীপ্ত’র মনটা ছটফট করছে। চবি’তে এক বছরের অনুজ মেধাবী সুদীপ্ত ফিজিক্সে এমফিল সেরে, বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি ছেড়ে সপরিবারে চলে এসেছে আমেরিকায়, একমাত্র সন্তানকে নিয়ে।

তার খুব ইচ্ছা ছিল কয়েক মাস নিউইয়র্ক সিটিতে থেকে নিজেকে কিছুটা গুছিয়ে চলে আসবে আমার কাছাকাছি হাডসন ভ্যালীতে। কোনো ইস্কুলে শিক্ষকের চাকরি নিয়ে। কিন্তু তার আর আসা হলো না। পরিবার নিয়ে নগরীর কুইন্স ভিলেজে প্রতিদিন এখন কাটছে আতঙ্কে।

জ্যামাইকায় আরেক বন্ধু শফি কাজ করতো লং আইল্যাণ্ডের একটি ওষুধ কারখানায়। সন্তানদের উচ্চশিক্ষা দেওয়ার আশায় কয়েক বছর আগে বিসিএস ক্যাডারের চাকরি ছেড়ে চলে এসেছে আমেরিকায়। এখন ঘরবন্দী। জানালো- রাতে এম্বুলেন্সের শব্দে ভয়ে ঘুম থেকে উঠে যায়। আর ঘুম লাগে না!

এরইমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় হবিগঞ্জের কাজলের মৃত্যু সংবাদ জানালো। গাড়ি চালাতে যেয়ে খালি রাস্তায় দুর্ঘটনায় পতিত হয় কাজল। এরই গাড়িতে করে শফি এক বছর নিয়মিত কাজে যাতায়াত করেছে। থবরটি নিউইয়র্কের সকল মিডিয়ায় এসেছে।

শফির সঙ্গে কথা বলার সময় দর্পণের ফোন পেলাম। দর্পণকে ফোন করতেই জানালেন- ঘরে বসেই সাংবাদিকতা করছেন। কচিৎ বাইরে বের হ’ন। তার স্ত্রী হাসপাতালের সহকারি নার্স। স্ত্রীকে হাসপাতালে যেতেই হয়। তিনি ঘরে সন্তানদের দেখাশুনা, আর বাজার হাট করছেন প্রয়োজনে।

নিউইয়র্ক নগরীতেই থাকেন বন্ধু, অনুজ দর্পণ কবীর। একসময়ের সাংবাদিক, ঢাকার কাগজের। নিউইয়র্ক এসেও দিন কাটে তার কবিতা, গল্প লেখা। আর স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকতায়। ফেইসবুক পাতায় প্রতিদিনই খবরাদি সরবরাহ করেন করোনা যুদ্ধের। থাকেন কুইন্সে। টেলিফোনে তাকে না পেলে শঙ্কা জাগে, নিজেই আক্রান্ত হলো কি না!

আমাদের রফিক মামা থাকেন ৫-৬ কিলোমিটার দূরে, এই হাডসন ভ্যালিতেই। এতদিন মামা-মামী দু’জনেই গেছেন আইবিএমের চাকরিতে। এ সপ্তাহ থেকে আর যাচ্ছেন না। তিন সপ্তাহের জন্য ছুটি নিয়েছেন। আজ সকালে ফোন করে জানালেন- নতুন কেনা বাড়ির আঙ্গিনায় বাগানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

জানালেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপর যুদ্ধের “স্ট্রেস” (অবসাদ) কমাতে মানুষ নিজের বাসাবাড়ির আঙ্গিনায় সব্জি বাগান করায় মনোযোগী হয়। এর নাম ছিল- “ভিক্টরি গার্ডেন”। সেই কমিউনিটি বাগানে যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদার ৪০ ভাগ শাকসব্জি উৎপন্ন হয়েছিল।

কথাবার্তার এক পর্যায়ে জানালেন- নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি কামাল আহমেদ মারা গেছেন। সেটা আমিও জেনেছি ফেবুর সুবাদে। এই কামাল আহমেদ কোনো বাঙালী মারা গেলে দাফন-কাফন কিংবা কবরের জন্য তৎপর হতেন। অথচ তিনিই করোনার কাছে পরাভূত হলেন বার্ধক্যের অনেক আগেই!

প্রায় ৭-৮ দিন থেকে ভাগ্নে সুমন ভুগছে জ্বর-কাশিতে। তারই বেইসমেন্টে থাকা একজন, আমার স্ত্রীর পরিচিত, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে। সুমনও ভাইরাসে আক্রান্ত হলো কিনা আশংকা। গত দু’দিন থেকে কল দিয়ে পাচ্ছি না। তার পরিবারের সদস্যরা কেমন আছে, কে জানে?

একটু আগে আবার কল দিলে সুমন ধরলো। জানালো জ্বর একটু কমেছে। কিন্তু শরীর দূর্বল। করোনা পরীক্ষার জন্য রক্ত দিয়েছে গতকাল। কিন্তু পরীক্ষার ফল জানতে সাতদিন! সুমন থাকে লং আইল্যাণ্ডে। সেখানে নাকি রোগীর সংখ্যা প্রচুর। সে কারণেই এত দেরি হবে পরীক্ষার ফল জানতে!

যে মাসে ফুল ফোটে, পাখির ডাকে ঘুম ভাঙে, সে মাসটি এপ্রিল। যে বসন্তের জন্য এত প্রতীক্ষা, ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত শীতের তীব্র আক্রমণ মুখ বুজে সহ্য করা, যে মাসটিকে স্বাগত জানাতে সারা আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্ব এতটা মুখিয়ে থাকে, সেই মাসটি এপ্রিল।

আজও টিউলিপ, লিলি, ডেফোডিল ফুটেছে। ঝকঝকে রোদ জানালা গলে পড়ছে। কিন্তু নেই, সেই আমেজ। খ্রিস্ট ধর্মালম্বীদের প্রিয় ঈস্টার সামগ্রীতে বড় বড় চেইন স্টোরগুলো সাজানো। তাদের ব্যবসা শুরুর কথা ছিল এই ঈস্টার সানডে’র আয়োজনে। কিন্তু সবই ভেস্তে গেল!

একটা যুদ্ধ-যুদ্ধ ভাব। ইলেক্ট্রনিক কিংবা অনলাইনের সংবাদপত্রগুলোর এতদিন শিরোনাম ছিল কেবল সমস্যা, আর সরকারের সিদ্ধান্তহীনতা, সমন্বয়হীনতার সমালোচনা। এখন আর কোনো সমালোচনা নেই! কোনো অভিযোগের তীর ছোঁড়া নেই সাংবাদিকদের!

করোনা তার সর্বোচ্চ শক্তিতে আঘাত করেছে আমেরিকায়। লুইসিয়ানা, মিশিগান, কানেক্টিকাট, ফ্লোরিডা এবং নিউজার্সিতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে। তবে নিউইয়র্কে মৃত্যুর সংখ্যা কমছে অথবা স্থির হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি এবং বিদায়ের সংখ্যা আনুপাতিক হারে কমার লক্ষণ গত দু’দিন থেকে। এখনো নিশ্চিত হয়ে বলার সুযোগ নেই! কারণ “If you’re too confident, you may get a big surprise”.

নিউইয়র্ক নগরীর ব্যস্ততম ম্যানহাটনের সেন্ট্রাল পার্কেও ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল বসেছে। গভর্নর জানালেন- চায়না ১ হাজারটি ভ্যান্টিলেটর পাঠাচ্ছে। নগরীর বিশালকায় জ্যাকব জেভিট কনভেনশন সেন্টারে আরো ২৫০০ শয্যার হাসপাতাল প্রস্তুত। এখন সম্ভবত চিকিৎসার অভাবে কেউ মারা যাবে, এমনটা বলা যাবে না! কিন্তু যে আতঙ্ক আর ক্ষত রেখে যাচ্ছে করোনা, তা থেকে মুক্তি পেতে আরও অনেক দিন লাগবে!

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71